সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক : শ্রবণশক্তি ঠিক
রাখার জন্য এক ঘণ্টার বেশি গান শোনা উচিত নয়। এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ১ দশমিক ১ বিলিয়ন
কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণী মারাত্মক শ্রবণঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ তারা
‘উচ্চমাত্রার শব্দ’ শুনে থাকে।
সংস্থাটি আরো বলেছে, অডিও প্লেয়ার, কনসার্ট এবং বার শ্রবণশক্তির ঠিক রাখার পথে বড় ধরনের হুমকি।
ডব্লিউএইচও-র তথ্য মতে, ১২ থেকে ৩৫ বছর
বয়সি ৪৩ মিলিয়ন মানুষ শ্রবণশক্তি হারিয়েছে। এই হার আরো দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে।
ধনী ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ব্যক্তিগত অডিও সিস্টেমে উচ্চমাত্রার শব্দ শুনে
অর্ধেকের বেশি মানুষ শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে।
এ ছাড়া ৪০ শতাংশ মানুষ ক্লাব ও বারে গিয়ে তাদের শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে। ক্লাব ও বারের শব্দ সাধারণত শ্রাব্যতার সীমা ছাড়িয়ে যায়।
১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া কিশোরী-কিশোরীর হার ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০০৬ সালে এই হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
ডব্লিউএইচওর ইনজুরি প্রিভেশন বিভাগের
পরিচালক ডা. এটিনি ক্রুগ বলেছেন, ‘আমরা এই ইস্যুতে (শ্রবণশক্তি) সচেতনতা
বাড়ানোর চেষ্টা করছি। কারণ এ বিষয়ে যথেষ্ট আলাপ-আলোচনা হয়নি। কিন্তু বিষয়টি
সহজেই আমরা সমাধান করতে পারি। তিনি বলেন, ‘দিনে এক ঘণ্টা শোনার অভ্যাস
ভালো। কিন্তু এই এক ঘণ্টাও যদি উচ্চমাত্রায় শোনা হয়, তবে তাও খারাপ।’
No comments:
Post a Comment